মাহফুজ আনাম-ডিজিএফআই ইস্যুতে দেশের তরুণ সাংবাদিকদের ভাবনার অংশ হিসেবে এই লেখাটি প্রকাশ হয়েছে। লেখক বর্তমানে এটিএন নিউজে কর্মরত।
এক এগারোর সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে যে বিতর্ক, তার বড় দায়ভার প্রথম আলো আর ডেইলি স্টারকে নিতে হবে। কারণ তাঁর মতে ডেইলি স্টার মার্কেট লিডার। তাই লিডারকে তো নেতৃত্বের দায়ভার নিতে হবেই। তবে, সাধারণ মানুষের মতো আমরাও জানি,

সেসময় মাইনাস টু ফর্মুলা যাদের মস্তিষ্ক প্রসূত উনি তাদের কাছের মানুষ। এটি তার ব্রেইন চাইল্ডও হতে পারে।
সম্পাদক হিসেবে তার যোগ্যতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে রাজনীতিকে যখন অরাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিচালনার স্বপ্ন দেখে তার ফল যে ভাল হয় না তা তো প্রমাণিত হয়েছে আগেই। মাহফুজ আনামরাই সে আন্দোলন করেছেন।
হয়তো, দেশকে ভাল কোনো দিকে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ থেকে এমন চিন্তাভাবনা বা স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে এর চেয়ে ভালো ভাবনা মাথায় আসে না। কারণ রাজনীতির মাঠ থেকে গড়ে ওঠা একজন সম্পাদক যখন মনের ভুলেও বিরাজনীতিকরণ চিন্তা করেন, তখন বুঝতে হবে তিনি তার ব্যক্তিস্বত্তাকে অনেক আগে অন্য কোথাও বন্ধক রেখেছেন।
এখন বোধহয়, সময় এসেছে ডেইলি স্টারের নেতৃত্ব বদলের। ওনার এখনও সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে দেশকে দেয়ার আছে অনেক কিছু। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সামরিক বা বিদেশিদের চাপে নয়, নেহাত শুভাকাঙ্ক্ষা থেকে এক-এগারোর সময় সাংবাদিকতার নীতি জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন তিনি। তাই এখনও সময় আছে সব দোষ ডিজিএফআই-র ঘাড়ে না চাপিয়ে নিজের দায়টা স্বীকার করে নিন। অন্ততপক্ষে বারবার মিথ্যে বলতে হবে না।